এরা হলেন আরাকান আর্মির কথিত সহযোগী অংনু ইয়ান রাখাইন, যে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে সে বাড়ির বর্তমান ও সাবেক দুই তত্ত্বাবধায়ক মংসোয়াং মারমা (৩৯) ও চসুই অং মারমার (৪২)।
রোববার রাঙামাটির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. রোকন উদ্দিন কবির এ আদেশ দেন।
আদালত ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম জানান, বিদেশি নাগরিক আইনের মামলায় এ তিন জনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়েছিল।
“শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন করে মঞ্জুর করে।”
এছাড়া সন্ত্রাস দমন আইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতের আবেদন পরে করা হবে বলে জানান মোমিনুল।
শুক্রবার রাতে এ তিন জনের বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজস্থলী থানায়। থানার এসআই অভিজিত বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
“একটি মামলা বিদেশি নাগরিক আইনে এবং আরেকটি সন্ত্রাস দমন আইনে।”
গত বুধবার সকালে বান্দরবানের থানচির সীমান্তের বড় মোদক এলাকায় আরাকান আর্মি হামলা চালালে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে কয়েকঘণ্টা গোলাগুলি চলে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।
ওইদিনই রাতে রাজস্থলীর নয়াপাড়ার কলেজ রোডের একটি বাড়ি থেকে আরাকান আর্মির পোশাক ও ঘোড়াসহ অংনু ইয়ানকে আটক করা হয়।
এর দুদিন পর শুক্রবার বিকালে রাজস্থলীর দুটি স্থান থেকে আটক করা হয় চসুই অং মারমা ও মংসোয়াং মারমাকে (৩৯)।