আপিল আবেদনের জন্য মওদুদকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়

অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত ‘লিভ টু আপিল’ করতে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 06:07 AM
Updated : 2 August 2016, 04:58 AM

‘লিভ টু আপিল’ দাখিলের জন্য রোববার দিন নির্ধারিত থাকলেও মওদুদ এদিন আদালতে জানান, তিনি আদেশের অনুলিপি পাননি; তার আরও সময় প্রয়োজন।   

তার বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ তাকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়।  

মওদুদ নিজেই আদালতে তার আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আদেশের পর খুরশীদ আলম বলেন, এ মামলায় মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে রোববার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রয়েছে। তবে বিষয়টি উচ্চ আদালতের বিবেচনাধীন থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এর আগে গত ২৩ অগাস্ট আপিল বিভাগ দুদকের এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে তাকে নিয়মিত ‘লিভ টু আপিল’ করতে বলে।

অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে দুদক।

গতবছর ২৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ আদালতের বিচারক শুনানি শেষে অভিযোগপত্র আমলে নেন।

অভিযোগে বলা হয়, গুলশানের যে বাড়িটিতে মওদুদ আহমদ ও তার পরিবার থাকছেন, তার প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ডিআইটির কাছ থেকে এই বাড়ির মালিকানা এহসান ‘লাভ করেন’। ১৯৬৫ সালে বাড়ির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের পাশাপাশি তার স্ত্রী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামও অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এহসান স্ত্রীসহ ঢাকা ত্যাগ করেন। তারা আর ফিরে না আসায় ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়।

এরপর ১৯৭৩ সালের ২ অগাস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন বলে এ মামলার অভিযোগ।

মওদুদ অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে গত ৫ মে হাই কোর্ট রুল দেয়।

রুলে বিচারিক আদালতের ওই আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা ১০ দিনের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়। রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত ২৩ জুন রায়ের দিন ধার্য করে।

ওইদিন হাই কোর্ট আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দিলে মওদুদ আহমদ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন নিয়ে যান। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আপিল বিভাগ মওদুদের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে তাকে আপিলের আবেদন করতে বলে।