সচেতনতা সবার আগে: গোলটেবিলে নোভা

ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবার আগে নিজের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষক ও গবেষক নোভা আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2015, 11:14 AM
Updated : 29 August 2015, 09:05 PM

শনিবার বিকালে রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ শিরোনামের এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এই মত প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি একাত্তর টেলিভিশন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া কোনো ছবি বা তথ্য অন্য কেউ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কি না তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে।   

ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ইন্টারনেটে অনেকেই অনেক ভোগান্তিতে পড়েন। তবে এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করবে? কার কাছে সমস্যা নিয়ে বলবে? কীভাবে বলবে তা ভেবে তারা চেপে যান।”

গোলটেবিলে আলোচকরা

কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বড় মেয়ে নোভা আহমেদ বলেন, “কিছু ওয়েবসাইটে মেয়েদের ছবি আপলোড করে ছবির পাশে দাম লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছবিতে আজেবাজে অনেক কমেন্ট পড়ে। ছবির পাশে ৫০০ টাকা বা বিভিন্ন টাকা দর লাগিয়ে দেওয়া হয়।

“যার ছবি ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে তার বন্ধুরাই তাকে বলে আমার ছবি তো সেখানে নেই? তোর ছবি কেন দিল?”

মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে ফেইসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে জানিয়ে নোভা বলেন, ভাল একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্রীর ছবি দিয়ে তারই বন্ধু ফেইসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আজেবাজে কমেন্ট করা হয়। এ নিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়।

“পরবর্তীতে ওই মেয়েটি বলেছে, আমি আর কোনো ছেলেকে ট্রাস্ট করতে পারব না।”

তবে কেউ এসব নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে চায় না জানিয়ে নোভা আহমেদ বলেন, “তাদের মনে শঙ্কা কাজ করে, কথা বললে স্বাধীনতা কমে যাবে, মা বের হতে দেবে না, বাবা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেবে না- এইসব।”

বৈঠকে আলোচক ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বিটিআরসি মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী।

জাতিসংঘ শিশু তহবিলের বিভাগীয় প্রধান (যোগাযোগ, প্রচার ও প্রচারণা) সীমা ইসলামও ছিলেন আলোচক প্যানেলে।