শনিবার বিকালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলের ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ শিরোনামের এ গোলটেবিল আলোচনাটি একাত্তর টেলিভিশন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হয়।
বৈঠকে আলোচক ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বিটিআরসি মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষক ও গবেষক ড. নোভা আহমেদ এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিলের বিভাগীয় প্রধান (যোগাযোগ, প্রচার ও প্রচারণা) সীমা ইসলামও ছিলেন আলোচক প্যানেলে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধিকারকর্মী খুশি কবির, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, জুলিয়ান ফ্রান্সিস, টেলিটকের মহাব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান, বিক্রয় ডটকমকের পরিচালক নাজ হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এবং এই জগতে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়া নিয়ে একটি তথ্যচিত্র পরিবেশন হয়।
সাইবার জগতে নিরাপদ বিচরণের উপায় এবং নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা ও তা এড়ানোর উপায় নিয়ে এই আলোচক প্যানেলের কাছে প্রশ্ন রাখতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সমবেত করে সমাজের নানা স্তরের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে।
তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে গত কয়েক বছরের বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ।
বিটিআরসির হিসাবে, চলতি বছর জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার। গত এক বছরে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ৮৭ হাজার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ তা ব্যবহার করছে মোবাইল ফোনে।
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে চলতি বছর জুন নাগাদ মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার ছিল বলে বিটিআরসির হিসাব।
ইন্টারনেট ব্যবহারে সুযোগ-সুবিধায় বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে নিরাপত্তার ঝুঁকিটিও প্রকাশ পাচ্ছে ধীরে ধীরে।
সাইবার নিরাপত্তা এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত একটি বিষয়। বাংলাদেশেও ইন্টারনেট ব্যবহারে আক্রান্ত হওয়ার হওয়ার নজির উঠে আসছে।
আর নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপে হয়রানি নিয়েও চলছে বিতর্ক। তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তার তার সর্বশেষ নজির। ফেইসবুকে মন্ত্রীকে নিয়ে লেখার সূত্র ধরে গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পান তিনি।
তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ মানবাধিকারকর্মীরা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাটি বিলোপের দাবিতে সোচ্চার। তাদের মতে, এই ধারাটি স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতিবন্ধক।