শুক্রবার রাতে এই অভিযানে এই চক্রের প্রলোভনে পড়া জয়পুরহাট ও মুন্সীগঞ্জের দুই ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুনতাসীরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- আব্দুল জলিল, শাকিল আহমেদ, রাব্বি, দিহান ও আশিকুর রহমান।
শনিবার বিকালে তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মহানগর হাকিম হাসিবুল হক প্রত্যেকের তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় উদ্ধার আবুল হাসান ও মাহবুবুর রহমান একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
উপকমিশনার মুনতাসীরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার রাতে শাহবাগ ও গাবতলী থানা এলাকা থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“এরা দেশে-বিদেশে কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত দুই ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।”
শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার পাঁচজন ও উদ্ধার দুজনকে সাংবাদিকদের সামনে আনে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মাহমুদা আফরোজা লাকি বলেন, “জলিল এই চক্রের হোতা। সে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করে। পরে কিডনি নিয়ে তা দেশে ও ভারতে বিক্রি করে।”
জয়পুরহাটের জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১১ সালে তিনি নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেছিলেন। তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল ভারতে।
উদ্ধার একজনকে জয়পুরহাট থেকে ঢাকায় এনেছিলেন জলিল। কিডনি দেওয়ার বিনিময়ে তাকে সিএনজি অটোরিকশা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।
কিডনি নিতে মুন্সীগঞ্জ থেকে একজনকে নিয়ে এসেছিলেন আশিক।
কয়েক বছর আগে জয়পুরহাটে কিডনি পাচারকারী একটি চক্রের সক্রিয়তা খবর প্রকাশ পেলে দমনে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই সব ঘটনায় মামলাও হয়। তবে অভিযোগপত্রে এই চক্রের হোতাদের পুলিশ বাঁচিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।