নবীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বাতেন খান জানান, বুধবার রাতে দগ্ধ হন রুমানা বেগম (২৩)। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রুমানা বেগমের পুরো শরীর ঝলসে গেছে বলে জানান তিনি।
রুমানা নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। ঘটনার পর স্বামী নানু মিয়া পালিয়ে গেছে। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার কালনীরচর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান ওসি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, দুই বছর আগে বালাগঞ্জ উপজেলার কালনীরচর গ্রামের ছালিক মিয়ার ছেলে নানু মিয়া নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়নের ছিট ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে রুমানাকে ভালবেসে বিয়ে করেন। তাদের তাসলিমা নামে এক বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।
“বিয়ের পর থেকেই নানু যৌতুকের জন্য রুমানাকে নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল। সম্প্রতি নানুর অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় রুমানা তার বাবার বাড়ি চলে যান।
“বুধবার রাতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে নানু মিয়া রুমানাদের বাড়ি আসে। রাতে নানু মিয়া ঘুমন্ত রুমানার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।”
ওসি জানান, রুমানার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে যান। তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।