ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে সহায়তার আশ্বাস চীনের

ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠায় চীন সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2015, 12:35 PM
Updated : 28 August 2015, 02:06 PM

চীন সফররত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বৈঠকে চীনের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লিউ লিহুয়া এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার চীনের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লিউয়ের সঙ্গে তার দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক মিলিত হন।

বৈঠকে চীনের অর্থায়নে গৃহীত ও চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী পলক বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৫ প্রণয়নে এবং ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠায় চীনের সহযোগিতা চাইলে চীনের তথ্যপ্রযুক্তি উপমন্ত্রী সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

উপমন্ত্রী লিউ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

এক্সিমব্যাংক, চায়না’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়েং শিং ইয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী পলক এক্সিমব্যাংক, চায়না’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়েং শিং ইয়ংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

এক্সিমব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের টিয়ার-৪ ডেটা সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী পলককে জানান এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়েং। এছাড়া ইনফো সরকার-৩, এস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের ঋণ চুক্তিও অনুমোদন হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী পলক চায়না এক্সিম ব্যাংককে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রবর্তী ভূমিকা নিতে অনুরোধ করে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বাস দেওয়া হয়।

এছাড়া এই সফরে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ(সিআরআইজি), হুয়াওয়ে, জেডটিই’র সদরদপ্তর রিদর্শন করেন এবং এসব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।