পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম এমদাদুল হক শুক্রবার এই হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার কাউছার হোসেন খান (২৯) ও কামাল হোসেন সরদারকে (২৯) দশ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ।
রিমান্ড আবেদেনের শুনানিতে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক দীপক চন্দ্র দে বলেন, এ মামলায় আগে গ্রেপ্তার সাদ আল নাহিন ও মাসুদ রানার রিমান্ডে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কাউছারকে এবং শ্যামপুরের ধোলাইপাড় থেকে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“এদের সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে আর কারা আছে তা জানার জন্য এই দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”
কোর্ট হাজতের ওসি মুরাদ হোসেন জানান, আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। তাদের পক্ষে কোনো জামিন আবেদনও করা হয়নি।
তারা দুজনই ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীনকে হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) মাহবুব আলম এর আগে জানিয়েছিলেন।
গত ৭ অগাস্ট ঢাকার গোড়ানে নিজের বাসায় সন্ত্রাসীদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন ব্লগার নিলয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা নাহিন ও মাসুদ রানা নামের আরেকজনকে গত ১৩ অগাস্ট গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
২০১৩ সালে উত্তরায় আসিফ মহীউদ্দীনের উপর হামলার পর নাহিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং এক বছরের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান।
কাউছার ও কামালও এর আগে আসিফ মহীউদ্দীনের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে উপকমিশনার মাহবুব জানান।
আসিফ মহীউদ্দীন হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, নাহিন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
ব্লগার নিলয় হত্যাকাণ্ডের পিছনেও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।