বৃহস্পতিবার বিকালে সতীহাট তমিজ উদ্দিন চকদার শিশু সদন ও মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
নিহতদের দুজনের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রাবেয়া (১২) এবং দুর্গাপুর গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে আশা মিম (১৪)।
ওই তিনজনের সঙ্গে মাদ্রাসাটির আরও ২০ শিক্ষার্থী বিদ্যুতায়িত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই মাদ্রাসাটির দোতলার টিনের চালে কিভাবে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল, সে বিষয়ে স্থানীয়রা কিছু বলতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দোতলার রেলিং এ যে সব শিক্ষার্থী স্পর্শ করেছিল, তারাই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলছে, দোতলার টিনের চালার উপর দিয়ে মাদ্রাসা থেকে চোরাই বিদ্যুৎ লাইন নেওয়া হয়েছিল। ওই লাইন থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কারও বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পর মাদ্রাসাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শতশত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- জয়নব (১৫), শামীমা (১৪), নাফিয়া (১৩), খোদেজা (১০), জান্নাতুন (১৩), সাদিয়া (১২), বৃষ্টি (১২), আঁখি (১৩), বৃষ্টি (১৬), হাবিবা (১২), বিলকিস (১৪), মিম (১৪), ফাতেমা (১১), মারিয়া (১২), আরিফা (১১), কারিনা (১৪), মরিয়ম (১৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা এই শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন।