একই সঙ্গে যারা অবৈধভাবে বন্য প্রাণী-বাঘ ও হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনারও সুপারিশও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বণ্যপ্রাণী রক্ষায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতেও সুপারিশ করেছে কমিটি।
ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বন বিভাগ ও ভারতের বন্য প্রাণী ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বর্তমানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে মাত্র ১০৬টি।
১৯৭৫ সালের জরিপে (বুবার্ট হ্যান্ড্রিস) সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘের সংখ্যা নিরূপণ করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঘ কমে যাওয়ার অর্থ হল- প্রাণীটির আবাসস্থল সঙ্কটে পড়েছে।
তবে বাঘ কমে যাওয়ার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ‘উড়িয়ে’ দিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
এদিকে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ইয়াসিন আলী এবং মেরিনা রহমান অংশ নেন।