রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ওই দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেয়।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ বিচারক মো. মফিজুল ইসলাম ওই হত্যা মামলায় অভিযোগ থেকে প্রধান আসামি মো. মইনুউদ্দিন হোসেন টুনু ও তার ছেলে মোহাম্মদ এহসানকে অব্যাহতি দেয়।
এ অব্যাহিতর আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করেন মামলার বাদী তৌফিক আজিম মিশু। এর ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুন বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল দেয়।
রুলে অভিযোগ থেকে ওই দুই আসামিকে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেয় একই বেঞ্চ।
উভয় রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত তা মঞ্জুর করে (অ্যাবসলিউট) রায় দেয়।
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো. শফিকুর রহমান।আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আমিন উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলন, “অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালত ওই দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছিল।হাই কোর্ট ওই অব্যাহতির আদেশ বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।ফলে লিয়াকত হত্যা মামলায় দুই আসামির অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পুনরায় শুনানি হবে।”
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১০ মে প্রকাশ্যে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লিয়াকতকে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পর দিন চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের ভাতিজা মিশু।
এজাহারে টুনুকে প্রধান আসামি ও এহসানসহ (পঞ্চম) ১৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ৬ মার্চ টুনুকে প্রধান আসামি এবং এহসানকে তিন নম্বর আসামি উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।