নাশকতার মামলায় জামায়াত-বিএনপির ২৩ কর্মী কারাগারে

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নাশকতার মামলায় জামায়াত ও বিএনপির ২৩ কর্মীকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 02:21 PM
Updated : 27 August 2015, 02:23 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারীর মুখ্য বিচারিক আদালতের বিচারক এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ দেন বলে নীলফামারীর ডিমলা থানার উপ-পরির্দশক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান।
এর আগে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত না নাকচ করে দেয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জামায়াত কর্মী লুৎফর রহমান (৪৫), সাত্তার আলী (৪৫), মহির উদ্দিন (৪০), জুয়েল (৩৫), আমজাদ হোসেন (৩৫), জিয়া (৩৫), আফছার আলী (৩৫), রশিদুল ইসলাম (৩০), কালা মিয়া (২৫), হারুন অর রশিদ (২৫), শরিফুল ইসলাম ছবদুল (৩০), জসিয়ার রহমান (৩০), হালিমুর রহমান (২৫), সহিমুদ্দিন (২৪), ও মিনারুল (২২)।
এছাড়া বিএনপি কর্মী ঘোটো (৩৫), সোবহান আলী (৩৫), আব্দুর রহিম (৩৫), শরিফুল ইসলাম কাল্টা (৩০), আমিনুর রহমান (৩৫), আলম (২৪), শাহজাহান আলী (২২) ও রাসেল ইসলাম (২২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দশম সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা ব্যাপক নাশকতা চালায়।

তারা ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং এবং পুলিং কর্মকর্তার আহত করে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডিমলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একাডেমী সুপারভাইজার আমির বোরহান বাদী হয়ে জামায়াত-বিএনপির অজ্ঞাতনামা শতাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় একটি মামলা করেন।

ডিমলা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলাটির তদন্ত শেষে এ বছর ৩১ মার্চ জামায়াত-বিএনপি ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে জেলার মুখ্য বিচারিক আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নীলফামারীর ডিমলা থানার উপ-পরির্দশক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৫৭জন আসামির মধ্যে ২৩ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার অপর আসামিরা এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।