১৮টি ফেরির মধ্যে মাত্র দুটি চলাচল করছে। বাকি ১৬টি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নাব্য সংকট নিরসনে বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর দুটি বড় ড্রেজার নদী খননের কাজ শুরুর কথা থাকলেও হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সুলতান উদ্দিন আহমেদ খান জানান, পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ঠিকাদার সিনো হাইড্রো কোম্পানি বৃহস্পতিবারও আরেক অংশে জরিপ করেছে। তীব্র স্রোতে জরিপ কাজও ব্যাহত হয়।
শুক্রবার তাদের সঙ্গে একটি সভা আছে। ওই সভাতেই নিশ্চিত হওয়া যাবে ড্রেজিং কবে শুরু হবে, বলেন তিনি।
“বিআইডব্লিউটিএ-এর চারটি ড্রেজার খনন কাজ চালাচ্ছে।”
তিনি জানান, পুরো নৌ রুটে ২২ লাখ ঘন ফুট পলিমাটি অপসারণ করতে হবে। তবে যেখানে মূল সমস্যা সেই লৌহজং টার্নিংয়ে প্রায় ২/৩ লাখ পলি মাটি আপতত অপসারণ করা হবে।
উচ্চ ক্ষমতার ড্রেজিং শুরু হলে ৫/৭ দিনের মধ্যেই নাব্য সংকটের সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিমুরিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের দুপ্রান্তে বৃহস্পতিবার প্রায় ৩শ যানবাহন আটকা ছিল। এর প্রায় সবই পণ্যবাহী ট্রাক।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক শেখর চন্দ্র রায় জানান, ফেরি ‘কুসুমকলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ নামের দুটি কে-টাইপ ফেরি কোনোরকমে চলাচল করছে। সারাদিনে এই ফেরি দুটি ৫টির মতো ট্রিপ দিতে পারছে।
এই রুটে প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে ৭০ থেকে ৮০টি ট্রিপ হয় বলে জানান তিনি।
বাকি ১৬টি ফেরি অলস বসে আছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।