বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কবির পরিবারের সদস্য, বিশিষ্টজন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদনে পর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “নজরুলের লেখা কোটি মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। জাতির জনক, জাতীয় কবি- এদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গেজেট প্রকাশ করতে হয় না। কোটি কোটি মানুষ হৃদয় থেকে তাদের শ্রদ্ধা করেন।”
তিনি বলেন, “আমরা নজরুলকে সঙ্গে নিয়েই বেড়ে উঠেছি। তার কবিতা, গান শুনে এবং পড়ে আমাদের চিন্তার বিকাশ ঘটেছে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে তার গান ও কবিতা আমরা কণ্ঠে ধারণ করেছি।
“নজরুল তার কালজয়ী সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস লাখো বাঙালির সঙ্গে ছায়ার মতো ছিলেন, আছেন।”
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “নজরুলের সময়ে মানুষেরা তাকে ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। কিন্তু নজরুল সব সময় প্রাসঙ্গিক ছিলেন।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি শোক শোভাযাত্রা তার সমাধিস্থলে যায়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “নজরুলের সাহিত্যকর্ম সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই সমাজের সব সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা সম্ভব হবে।”
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন দলের পক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, নজরুল ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, চারণ সাংস্কৃতিক একাডেমি, বাংলাদেশ নজরুল আবৃত্তি পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।