বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হলে এ আদেশ দেওয়া হয় বলে তনোর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান।
তিনি বলেন, অশুভশক্তি তাড়ানোর নাম করে বুধবার রাতে ‘সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায়’ ৬০ বছর বয়সী ফুলমনিকে পা দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করা হয়, যিনি ওই এলাকার মৃত ঝাদে মার্ডির স্ত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই বিলাশী, রতন (১৮), ববিসহ (২০) ছয় জনকে আটক করা হয়।
এ ছয়জনকে আসামি করে নিহতের মেয়ে শেফালী মারডি বাদী হয়ে তানোর থানায় মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তোলা হয়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছয়জন ফুলমনিকে পা দিয়ে মাড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন। তবে হত্যার উদ্দেশ্যে নয় বরং ‘অশুভশক্তি তাড়ানোর চিকিৎসা’ করতে গিয়ে গির্জার শিক্ষক বিলাশীর নির্দেশে ফুলমনিকে পা দিয়ে মাড়ানো হয় বলে আসামিরা জানিয়েছেন।
আসামিরা দোষ স্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়নি। পরে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।