বাংলাদেশে স্পেনের নতুন রাষ্ট্রদূত এদুয়ার্দো দে লা ইগলেসিয়া ই দেল রোসাল বৃহম্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা বলেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করে স্পেনের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি খাতে তার দেশের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
রেল যোগাযোগে স্পেনের সহায়তার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
শেখ হাসিনা স্পেনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত হিসাবে এদুয়ার্দো দে লা ইগলেসিয়া ই দেল রোসাল বাংলাদেশে দায়িত্ব নেওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দুদেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত।
দায়িত্ব পালনকালে স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মোহাম্মদ ফারুক জানান, তথ্য কমিশনে ২১ হাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭০ হাজার তথ্য নাগরিকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে।
নাগরিকরা চিকিৎসা ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশি তথ্য জানতে চান বলেও মন্তব্য করেন মোহাম্মদ ফারুক।
এছাড়া গত বছর এক হাজার ৯৫টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল, যার অধিকাংশই মীমাংসিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশনের কাজের প্রশংসা করে সাধারণ নাগরিকরা যাতে অনলাইনে তথ্য চান, সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাসী।”
এসময় মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।