হাসপাতালের ফটক, নিচতলার বারান্দা আর গাছের নিচে গরমের মধ্যে শিশুদের নিয়ে বসে ছিলেন বাবা-মায়েরা। বেশিরভাগ শিশুর হাতে দেখা গেল কেনুলা। কেউ কেউ হাঁপাচ্ছে, কেউ কেউ নেতিয়ে পড়েছে।
পোশাক-সরঞ্জামসহ ‘আরাকান আর্মির সহযোগী’ আটক
বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলির পর পাশের জেলা রাঙামাটিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মিয়ানমারের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠন আরাকান আর্মির এক ‘সহযোগীকে’ আটক করা হয়েছে।
Published : 27 August 2015, 08:11 AM
Updated : 27 August 2015, 12:36 PM
আটক অং ইউ ইয়াং রাখাইনের (২০) জিম্মায় দুটি ঘোড়া, আরাকান আর্মির তিন সেট পোশাক, পোশাকের ৩০ গজ কাপড়, তিনটি ল্যাপটপ, দুটি ডিজিটাল ক্যামরা, একটি হ্যান্ডিক্যাম, মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর ৩০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, দুই জেলার মধ্যবর্তী রাজস্থলী উপজেলার তাইদং পাড়ায় বুধবার রাত ১০ থেকে ২টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে।
ব্রিগেডের জিএসও-২ মেজর তসলিমের সই করা ইমেইলে বলা হয়েছে, ড. রান নিন সোয়ে মার্মা নামে একজনের বাড়ির বন্ধ একটি কক্ষে অং ইউ রাখাইন নামের ওই যুবককে পাওয়া যায়।
ইমেইলের সঙ্গে পাঠানো ছবিতে দেখা গেছে আটক যুবকের দুই হাত নেই। তার শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে রাজস্থলী থানার ওসি ওয়াহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গোপন খবর পেয়ে নেদারল্যান্ডস প্রবাসী রান নিন সোয়ে মারমার বাসায় অভিযান চালানো হয়।
“এসময় বাড়ির মালিক পালিয়ে গেলেও তার সহযোগী অং ইউ ইয়াংকে আটক করা হয়।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অং ইউ নিজেকে আরাকান আর্মির সহযোগী বলে স্বীকার করার পাশাপাশি তার বাড়ি আরাকানে বলে জানিয়েছেন, বলেন ওসি ওয়াহিদুল।
আটক যুবককে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বুধবার সকালে বান্দরবানের থানচির বড় মোদক এলাকায় মিয়ানমারের একটি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য আহত হওয়ার পর যৌথ অভিযান শুরু হয়।
বিজিবি সদস্যরা মঙ্গলবার আরাকান আর্মির মালামাল বহনের কাজে ব্যবহৃত ১০টি ঘোড়া আটক করে। এর জের ধরেই বুধবার সকালে আরাকান আর্মি এই হামলা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত খবর
সেজন্য শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল।
তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক এরকম একটা হাসপাতালে… আমরা এখনি কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত হোক আগে। আমরা পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছি।”
নিহত মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সিনিয়র সাব-অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
