বুড়িগঙ্গা : আদি চ্যানেলে জরিপ ও পিলার স্থাপনে আদালতের নির্দেশ

নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য বুড়িগঙ্গার আদি বা দ্বিতীয় চ্যানেল (কামরাঙ্গীরচর-হাজারীবাগ) এলাকায় দুই মাসের মধ্যে জরিপকাজ শেষ করে সীমানা পিলার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2015, 06:12 PM
Updated : 26 August 2015, 06:13 PM

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আর এ কাজে পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।

ফাইল ছবি

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।

এর আগে নদীর দখল-দূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদন শুনে ২০০৯ সালের ২৫ জুন হাই কোর্ট বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।

এতে নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলা হয়। ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় সমন্বিতভাবে ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে বা সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ ও খুঁটি স্থাপন করতে বলা হয়।

মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতের রায়ের পর চার নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তবে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (কামরাঙ্গিরচর-হাজারীবাগ) অংশ বাদ পড়ে।দ্বিতীয় চ্যানেল নামেও পরিচিত বুড়িগঙ্গার এই অংশের সীমানা নির্ধারণে জরিপ ও নদী সীমানায় পিলার স্থাপনের জন্য ২৩ অগাস্ট সম্পূরক এই আবেদনটি করা হয়।