এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আর এ কাজে পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।
এর আগে নদীর দখল-দূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদন শুনে ২০০৯ সালের ২৫ জুন হাই কোর্ট বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন।
এতে নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলা হয়। ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় সমন্বিতভাবে ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে বা সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ ও খুঁটি স্থাপন করতে বলা হয়।
মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতের রায়ের পর চার নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তবে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (কামরাঙ্গিরচর-হাজারীবাগ) অংশ বাদ পড়ে।দ্বিতীয় চ্যানেল নামেও পরিচিত বুড়িগঙ্গার এই অংশের সীমানা নির্ধারণে জরিপ ও নদী সীমানায় পিলার স্থাপনের জন্য ২৩ অগাস্ট সম্পূরক এই আবেদনটি করা হয়।