মঙ্গলবার গভীর রাতে তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার এ গির্জায় এ ঘটনায় নিহত ৬০ বছর বয়সী ফুলমনি ওই এলাকার মৃত ঝাদে মার্ডির স্ত্রী।
নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তানোর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষকসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।”
ওই গির্জার শিক্ষক বিলাশী, রতন (১৮), ববি (২০) সহ আরো তিন কিশোরীকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের মেয়ে আরতির অভিযোগ- মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার উপর অশুভ শক্তির প্রভাব আছে ভেবে ঝাঁড়ফুক করাতে গির্জায় নেওয়া হয়।
অশুভ শক্তি ভর করেছে দাবি করে ফাদার মাইকেল কোডাইয়া ফুলমনির শরীর থেকে তা দূর করতে ওই গির্জার শিক্ষক বিলাশীকে নির্দেশ দেন।
ঝাড়-ফুঁকের কাজে বিলাশীর সঙ্গে অন্য অভিযুক্তরা অংশ নেয়।
এক পর্যায়ে তারা ছয় জন ফুলমনিকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়াতে থাকে এবং পিটুনিও দেয়। এতে ওই বৃদ্ধা আহত হন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে আরতি তার মাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ফাদারের কাছে অনুরোধ করেন।
তার কথা না শুনে ঝাড়-ফুঁক চালিয়ে যায় তারা। রাত ১টার দিকে ফুলমনির মৃত্যু হয় বলে জানান নিহতের মেয়ে।
মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আরতির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ছয় জনকে বুধবার সকালে আটক করে।
তবে ফুলমনিকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে গীর্জার ফাদার মাইকেল কোডাইয়া জানান, এখানে শুধু অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়া ফুঁ দেওয়া হয়। আর কোনকিছু করা হয় না।
এ ঘটনায় কেন ফাদারকে আটক করা হয়নি জানতে চাইলে রাজশাহী জেলার এএসপি আব্দুর রশিদ ফাদার এ হত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।