সংসদীয় কমিটির সুপারিশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সফরের আয়োজন করছে। বুধবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকের কার্যপত্রে এ সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলা না হলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের জবাবে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, “সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য এই সফর। এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে আসা ওই কার্যপত্রের অনুলিপি থেকে জানা যায়, সংসদীয় কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ মোট ১৮ জনের সফরের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে মোট এক কোটি ৯২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫২ টাকা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কার্যপত্রে বলা হয়, “চীন ও ভিয়েতনামের বাংলাদেশ মিশনকে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সফরসূচি চূড়ান্ত করাসহ উভয় দেশে অবস্থানকালীন সময়ে হোটেল, যানবাহন, দোভাষী এবং অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কে অবহিত করতে ই-মেইলে অনুরোধ করা হয়েছে।”
এতে ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়, হো চি মিন সিটি ও হা লং বে’তে যাওয়ার কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে।
তবে চীনের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো জবাবে সফরসূচিতে সাংহাইয়ের পরিবর্তে কুনংমি সিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাংহাইয়ে বাংলাদেশ মিশনের অফিস না থাকায় তাদের এই প্রস্তাব বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ভিয়েতনাম ও চীন সফরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।”
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বর্তমান এসিআর পদ্ধতির বদলে ‘পারফরমেন্স বেইসড ইভ্যালুয়েশন’ পদ্ধতি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য কমিটিতে উপস্থাপন করতে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এছাড়া ‘পদোন্নতিবঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে তালিকা তৈরিরও সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এবং মো. আব্দুল্লাহ এ বৈঠকে অংশ নেন।