নাশকতার মামলায় শওকত মাহমুদ রিমান্ডে

নাশকতার এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2015, 08:01 AM
Updated : 19 August 2015, 12:35 PM

ঢাকা মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান বুধবার এই আদেশ দেন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদকে সকালে আদালতে হাজির করে মগবাজারে গাড়িতে আগুন দেওয়ার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে শওকত মাহমুদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের আবেদন করেন।

তিনি বলেন, “উনি প্রচণ্ড অসুস্থ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ফিরেছেন। দীর্ঘ আট মাস আগের এ মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা নেই। হয়রানি করার জন্যই তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে।”

রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে শওকত মাহমুদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

আদেশে বলা হয়, সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের আইন মেনে এবং রিমান্ডে মুখোমুখি হওয়ার শারীরিক সক্ষমতা আছে কি না- তা বিবেচনা করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হল।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকালে শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকটি মামলা থাকায় শওকত মাহমুদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের কাছে হেরে যান বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ। মঙ্গলবার পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নির্বাচনে ‘কারচুপির অভিযোগ’ তুলে ধরার কথা ছিল তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোটের প্রচারে কাজ করা আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতাদের। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ এর সদস্য সচিব।

তাকে গ্রেপ্তার করার আগে অনুষ্ঠানস্থলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়।  

যাত্রাবাড়ী থানার নাশকতার মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে আগের দিন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানালেও বুধবার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয় রমনা থানার একটি মামলায়।   

২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালের মধ্যে গত ৯ জানুয়ারি মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোডে পেট্রোল ঢেলে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।

ওই গাড়ির চালক আবুল কালাম গুরুতর দগ্ধ হন এবং ১৫ জানুয়ারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।