‘প্রধান বিচারপতি সাকার মামলা থেকে সরে গেলে রায়ই হত না’

বিচারাধীন বিষয়ে বিচারকের কথিত ভূমিকা নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করায় জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছে আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 August 2015, 06:03 PM
Updated : 13 August 2015, 04:54 AM

রোববার এ সংক্রান্ত একটি আদালত অবমাননার রুলের শুনানির সময় বিচারপতি এস কে সিনহা প্রশ্ন করেন, “ওই মামলা থেকে যদি প্রধান বিচারপতি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতেন, তবে কারা লাভবান হত ?”

নিবন্ধ প্রকাশ করায় জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে এর আগে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের উপর সোমবার আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

জনকণ্ঠের দুই সাংবাদিক রুল শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠনের আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ সোমবার বিষয়টি শুনবে।

‘সাকার পরিবারের তৎপরতা : পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে স্বদেশ রায়ের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।

এ নিয়ে ২৯ জুলাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়ের দিন দৈনিক জনকণ্ঠ সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবমাননার রুল দিয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ৩ অগাস্ট আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।

ওই দিন বিবাদীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৯ অগাস্ট দিন ধার্য করেন। এদিন জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নিবন্ধের লেখক স্বদেশ রায় আদালতে হাজির হন।

শুরুতে জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেন, যাতে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠনের অনুরোধ জানানো হয়।  

শুনানিতে তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতি অন্য একজন বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছেন। সে রেকর্ড সংগ্রহে আছে। যেহেতু প্রধান বিচারপতি এ মামলায় একটি পক্ষ তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলার শুনানি থেকে প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া প্রয়োজন।”

এ লেখা কি শুধু প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে, না কি আপিল বিভাগের সব বিচারপতিকে নিয়ে লেখা হয়েছে - আইনজীবীর কাছে সেই প্রশ্ন রাখে আদালত।  

এ সময় প্রধান বিচারপতি ওই নিবন্ধটি পড়ার জন্য সালাউদ্দিন দোলনকে বলেন।

নিবন্ধের একটি অংশে বলা হয়েছে, “প্রধান বিচারপতি তার আদালতে ফখরুলের মামলার শুনানির সময় বললেন, যাদের নির্দেশে কর্মসূচি ডাকার ফলে পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তারা এই হত্যার দায় এড়াতে পারে না। অথচ দেখা গেল সুপ্রিম কোর্ট থেকে মির্জা ফখরুল জামিন পেয়ে গেল। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আদালতের গঠনমূলক সমালোচনা করা যাবে। তাই তার কাছে বিনীত প্রশ্ন- ১৪৩ জনকে পুড়িয়ে মারার অন্যতম হুকুমের আসামি কিভাবে চিকিৎসার জন্য জামিন পায়?”

আইনজীবীর এই অংশ উপস্থাপনের পর প্রধান বিচারপতি বলেন, “এর মাধ্যমে পুরো আপিল বিভাগের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কী দুঃসাহস! এ প্রশ্ন তোলার এখতিয়ার তাকে কে দিয়েছে ?”

এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় জামিন নিয়ে একটি মন্তব্যের আপিল বিভাগ থেকে ‘শোকজ’র কথা উল্লেখ করে আদালত।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখানে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তরাও এসে বলেছেন, ন্যায়বিচার পাবেন না। বেঞ্চ পরিবর্তনের জন্য। আমরা তা মঞ্জুর করিনি।”

এই পর্যায়ে সালাউদ্দিন দোলন বলেন, দুটি বিষয় আলাদা।

আদালত বলে, আইন সবার জন্য একই ভাষায় কথা বলে। ফাঁসির আসামির সুরক্ষা আরও বেশি প্রয়োজন।

এক পর্যায়ে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে দেয়। 

এরপর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে জনকণ্ঠের ওই নিবন্ধটি উপস্থাপন করতে বললে তিনি তা পড়ে শোনান।

এরপর মাহবুবে আলম বলেন, “কোর্টে না এসে এসি রুমে বসে লিখলে এমন ভুল হয়। লেখায় বিচার বিভাগকে হেয় করা হয়েছে।”

প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চান- ওই নিবন্ধের কোন কোন অংশ অবমাননামুলক।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা (ফাইল ছবি)

প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখানে অনেক সাংবাদিক এসেছেন। সংবিধানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। কিন্তু সেখানে বিধি-নিষেধ রয়েছে। সংবিধানে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকরা কতটুকু লিখতে পারেন? তাদের মনে একটি ক্ষোভ আছে। এর সমাধান হওয়া উচিত।”

এ সময় সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদ পড়ে শুনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্বাধীনতা রয়েছে।

এ সময় আদালত বলে, আইন বলতে কী বলা হয়েছে সংবিধানে? সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও আইন।

এ সময় আদালতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে মির্জা ফখরুলের জামিনের প্রসঙ্গ টেনে মাহবুবে আলম বলেন, কেউ মৃত্যুমুখে থাকলে সুপ্রিম কোর্ট তার চোখ বন্ধ রাখতে পারে না। লেখায় কোথাও এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।

অ্যার্টনি জেনারেলের তুলে ধরা স্বদেশ রায়ের নিবন্ধের একটি অংশে বলা হয়েছে, “এখানেই কি শেষ ৭১-এর অন্যতম নৃশংস খুনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালির রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপিল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রুশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোন বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান।”

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি একান্তই তার নিজের এখতিয়ার। এমনকি উচ্চ আদালতের বিচারকসহ বিচার বিভাগের কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার বিষয়টিও প্রধান বিচারপতির এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত।

“প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাবেক একাধিক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের পরামর্শ নিয়েছি কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ..প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। তিনি বিচার বিভাগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে নাক গলান না।”

যোগ না দেওয়া লন্ডন সফর প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি ছাত্রদের একটি সংগঠন আছে। সেই সংস্থার নির্বাচন হয়েছে। তারাই আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি সমাজে মৌলভীবাজার ও সিলেটের লোক বেশি। যেহেতু আমার বাড়ি মৌলভীবাজারে, তাই তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা টিকেট দিতে চেয়েছে। আমাদের হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির স্ত্রীও মৌলভীবাজারের। তিনিও আমাকে টিকেট দিতে চাইলেন। আমি তাদের এই প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। আমার সেখানে সফরের বিষয়ে দূতাবাস সব ঠিক করেছে।

“এখন সাংবাদিকরা লিখে দিলেই কি কেউ বিএনপি-জামায়াত হয়ে যাবে? কে সার্টিফিকেট দেবে?”

এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি তার লন্ডন সফর সংশ্লিষ্ট নথি উপস্থাপন করতে তার একান্ত সচিব আনিসুর রহমানকে নির্দেশ দেন।

বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা থেকে যদি প্রধান বিচারপতি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতেন তবে কারা লাভবান হত? শুনানি শেষে রায়ের আগে যদি প্রধান বিচারপতি সরে যেত তাহলে তো ওই মামলায় রায়ই হত না।”

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ নিবন্ধ লেখা হয়েছে। কাদের মোল্লার মামলায় রায় লিখেছেন আপনি। সাঈদীর মামলার রায়ও লিখেছেন। মুজাহিদ এবং সাকার মামলায় আমরা রায়ের অনুলিপির অপেক্ষায় আছি। আপনি অত্যন্ত সুচারূভাবে সালাউদ্দিন কাদেরের মামলাটি শেষ করেছেন। তারা তো এ মামলায় বিলম্ব করতে চেয়েছিল।”

প্রধান বিচারপতি বলেন, “যুদ্ধাপরাধের মামলা নিষ্পত্তির বর্তমান বেঞ্চ তো এখন হয়নি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দিনই এ বেঞ্চ গঠিত হয়। আর সংবিধান অনুযায়ী বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি একান্তই প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার। আর আগে যুদ্ধাপরাধের প্রতিটি মামলাতেই বিভক্ত রায় হয়েছে। এ বেঞ্চ গঠনের পর কোনো বিভক্ত রায় হয়নি।”

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এ মামলায় রুল ইস্যুর পর জনকণ্ঠে আদালতকে প্রভাবিত করার মতো কোন লেখা প্রকাশিত হয়েছে কি-না আপনি দেখবেন। তারপর বিষয়টি আদালতকে জানাবেন। আর রুল ইস্যুর লেখাটি কুৎসামূলক কি-না তা জানাবেন।”

জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক বিচারপতির কথোপকথন তুলে ধরা শুরু করলে এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো মামলায় কেউ শুনানিতে আগ্রহী হলে তাকে সরিয়ে দেওয়া প্রধান বিচারপতির কর্তব্য। কোনো কেনো বিচারপতি বিভিন্ন মামলা শোনার আগ্রহ দেখান।..তাদের ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট আছে ধরে নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে মাঝে মাঝে বেঞ্চ পুনর্গঠন করতে হচ্ছে।”

এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল দাঁড়িয়ে বলেন, তারা শুধু আদালত অবমাননাই করছে না, তারা এই আদালতকে বিতর্কিতও করতে চাচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি জনকণ্ঠের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, “আবেদনে একজন বিচারপতির কথা বলা হয়েছে, তার নাম দিতে হবে।..বিচারপতিদের একটি নীতিমালা আছেন। কোন বিচারপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, তাও দেখতে হবে।”

সকাল ১১টার দিকে বিরতিতে যায় আদালত।

বিরতির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, “বিচার বিভাগ বা প্রধান বিচারপতি কাচের দেয়াল নয়। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটি অঙ্গ বিচার বিভাগ। ..একজন বিচারকও যদি কলঙ্কিত হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ক্ষতি।

“প্রধান বিচারপতি কাচের দেয়াল নয়, যে ইট মারলে ঝন ঝন করে ভেঙে যাবে।... এটি হালকা বিষয় নয়। আমরা একমত হয়েছি, সোমবার আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।”

আদালত থেকে বেরিয়ে জনকণ্ঠের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি আবেদন করা হয়েছিল।

“এর মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বেঞ্চ গঠনের জন্য একটি, সেটি খারিজ করেছে আদালত। দ্বিতীয়টিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য এক বিচারপতির কথোপকথন নিয়ে জনকণ্ঠের ব্যাখ্যা। আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে তা আবেদনে উল্লেখ করেছি। এটি উপস্থাপনের সময় বিষয়টির উপর বিস্তারিত শুনানি জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছে আদালত। তৃতীয় আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।”

আদালত থেকে বেরিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিষয়ে যে রুল ছিল তা প্রধান বিচারপতি বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য ঠিক করেছে।

“নিবন্ধটি লেখার মাধ্যমে জনকণ্ঠ আদালত অবমাননা তো করেছেই, এখন তারা যেসব ডকুমেন্ট জমা দিচ্ছে সেটা আরও গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

মাহবুবে আলম বলেন, “লন্ডনের সফর বিষয়ে প্রধান বিচারপতি স্বচ্ছতার স্বার্থে তার অবস্থান বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয় এমন কোনো প্রতিবেদন লেখা সাংবাদিকদের উচিত না।”