শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় পূর্ব গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়া বাসায় নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস রাতে এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘আরেকজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের বিরুদ্ধে সংঘটিত বর্বর অপরাধ এবং সহিষ্ণুতার উপর আঘাত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করতে এবং আগের সব ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ প্রতিনিধি।
নিলয় কাজ করতেন একটি বেসরকারি সংস্থায়; সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এই ব্লগার ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন ‘নিলয় নীল’ নামে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চেরও সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি।
কিছুদিন ধরে হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে নিলয় ফেইসবুক থেকে নিজের সব ছবি সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি ঠিকানার জায়গায় বাংলাদেশের বদলে লিখেছিলেন ভারতের কলকাতার নাম।
তাকে যে মাঝেমধ্যেই অনুসরণ করা হচ্ছিল, তা তিনি ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন গত ১৫ মে। এজন্য পুলিশের নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা চাইলে গেলে পুলিশ উল্টো নিলয়কে তাড়াতাড়ি বিদেশ যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে ওই পোস্টে তিনি লেখেন।
তবে এই দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, “নাগরিকদের সুরক্ষায় পুলিশ মূর্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
“ভবিষ্যতে হত্যাকাণ্ড রোধে সমাজের সর্বস্তর থেকে এই ধরনের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে জোর নিন্দা অব্যাহত থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
‘ইন্টারনেটে শান্তিপূর্ণভাবে মতামত প্রকাশকারী মানুষের প্রতি অসহিষ্ণুতা আপাতদৃষ্টিতে বেড়ে যাচ্ছে’ বলে এর আগেই বিবৃতি দিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে বলে জানান তিনি।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ও বিচার চেয়ে বিবৃতি দেয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস অ্যানিলে।