‘নারায়ে তাকবির বলে কোপানো হয় নিলয়কে’

বাসা দেখার নামে যে চার যুবক নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়ের ঘরে ঢুকেছিল, কোপানোর সময় তাদের কণ্ঠে ছিল ‘নারায়ে তাকবির’।

গোলাম মুজতবা ধ্রুববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2015, 03:36 PM
Updated : 7 August 2015, 03:36 PM

নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন, জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের সময় তিনিও বাসায় ছিলেন।

আশা মনি বলেন, “আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক যুবক বলেন- বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বাসা দেখাতে বলেছেন। এরপর বাসা দেখার নাম করে বাসার ভেতরে ঢুকেন তিনি।

“ওই যুবক বাসা দেখার সময় হাতে থাকা মোবাইল টিপছিলেন। মোবাইলে কাউকে এসএমএস করছিলেন বলে মনে হয়েছে।”

বাসা দেখা শেষ হলেও ওই যুবক বের না হওয়ায় বেডরুমে ল্যাপটপে কাজ করতে থাকা স্বামী নিলয়কে বিষয়টি জানান আশা।

আশা বলেন, “নিলয় ওই যুবককে চলে যেতে বলার সঙ্গে সঙ্গেই আরও তিনজন লোক বাসায় ঢুকে। এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী একজনের মুখে দাড়ি ছিল।

নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় ও তার স্ত্রী আশা মনি। আশা মনির ফেইসবুক থেকে

শুক্রবার দুপুরে নিজের বাসায় খুন হন ব্লগার নিলয়

“বাসায় ঢুকেই নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর বলেই চাপাতি দিয়ে নিলয়ের হাতে কোপ দেয় দাড়িওয়ালা লোকটি।”

আশা জানান, নিলয়কে কোপ দেওয়ার পর চিৎকার করে স্বামীকে না মারতে তিনি ওই লোকের পা জড়িয়ে ধরেন। এরপর তাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে একটি বারান্দায় আটকে রাখা হয়।

রাজধানীর গোড়ানের পাঁচ তলার ওই বাড়িতে পঞ্চম তলায় স্ত্রীকে নিয়ে সাবলেট থাকতেন নিলয়। ওই ফ্ল্যাটে দুইটি বেডরুম, দুটি বারান্দা, রান্না ঘর ছাড়াও ছোট্ট আরেকটি কক্ষ আছে। একটি বেডরুম, বারান্দা ও ছোট্ট কক্ষটি ব্যবহার করত নিলয় দম্পতি।

ছোট বোন ইশরাত তন্নী বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় বেড়াতে এসেছে জানিয়ে আশা মনি বলেন, “ওই সময় আমার বোন রান্না করছিল। সেও চিৎকার শুরু করলে তারা ওকে অন্য একটি বারান্দায় আটকে রাখে।”

দুই বোনকে আলাদা আলাদা বারান্দায় আটকে রেখে নিলয়কে মাথা ও ঘাড়ে কুপিয়ে যুবকরা চলে যায় বলে জানান আশা।   

তিনি বলেন, চারজন যুবকের মধ্যে একজনের হাতে কালো রঙের একটি পিস্তল ছিল। যুবকরা চলে যাওয়ার পর থেকে নিলয়ের ব্যক্তিগত ল্যাপটপটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আশা জানান, পরিবারের অমতে দুই বছর আগে কোর্ট ম্যারেজ করেন তারা।