নিহত সুমাইয়া আক্তার (১৫) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুরের ষোলআনী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এবিএমএস দোহা জানান, বুধবার দুপুরে আবুল হোসেনকে (৩৫) আদালতে হাজির করা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল হোসেন মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানান দোহা।
আবুল হোসেন জানান, প্রতিবেশী খবির দেওয়ানের ছেলে রাজীব দেওয়ানের (১৮) সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে নিষেধের পরও সুমাইয়া রাজীরের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বাঁশের লাঠি দিয়ে সে সুমাইয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে মেয়ের লাশ বস্তাবন্দি করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন বলে জানান তিনি।
এবিএমএস দোহা জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ষোলআনী গ্রামের পুকুর থেকে সুমাইয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।