অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) আলমগীর হোসেন বুধবার এক শুনানি শেষে প্রকল্পটিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে এ জরিমানা করা হয়েছে।”
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ‘জলসিঁড়ি’ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই এ শুনানি হয়।
রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) পর্যালোচনা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গতবছর ৪ জুন দুই হাজার একরের বেশি জমির ওপর জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।
চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি গলফ গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পে বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে প্লট হস্তান্তর করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, জলসিঁড়ি প্রকল্পে ২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩০ একর জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে নিচু ভূমি ও জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। এছাড়া নকশা অনুযায়ী পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক নূর ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “জলসিঁড়ি প্রকল্পকে জরিমানার বিষয়ে আমাদের কাছে দেওয়ার মত কোনো তথ্য নেই।”
‘জলসিঁড়ি’ প্রকল্পের পরিচালক (ভূমি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারুল ইসলামও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রকল্পটির পূর্বে শীতলক্ষ্যা আর পশ্চিমে বালু নদী। উত্তরে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প আর দক্ষিণে মাদানী এভিনিউ। ৬৬ হাজার সেনা সদস্যের পরিবারকে আবাসন সুবিধা দিকে এ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রকল্পটি অনুমোদন করার পর গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “সেনাবাহিনী তাদের প্রকল্পে বুয়েটের ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এক্সপার্টদের দিয়ে এড্রেস করছে। তারা বিরাট খাল খনন করে বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী সংযোগ করেছে।”