মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর পার্বতীপুর এলাকা থেকে সাগরের (১৪) লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার এসআই আব্দুল লতিফ জানান।
তিনি জানান, সাগরের বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে একটি গাছের ডালে রশিতে ঝোলানো তার লাশ পাওয়া যায়।
“তার দুই পা মোড়া এবং হাঁটু মাটির সঙ্গে লেগে ছিল। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
“সম্ভবত খুনিরা অন্য কোথাও তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশটি এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যার বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান এসআই লতিফ।
এসআই আব্দুল লতিফ জানান, গত ১ জুলাই রাতে শহরের পীরজাবাদ এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক শহিদার রহমান নিহত হওয়ার মামলায় ৩ নম্বর সাক্ষী হলেন মিলন মিয়া। নিহত সাগর মিলনের ছোট ভাই।
তিনি আরও বলেন, মিলন মিয়ার মালিকানাধীন চালকলে কাজ করত সাগর। রাতে বাড়িতে না ফেরায় খুঁজতে খুঁজতে গাছে ঝুলন্ত ভাইয়ের লাশ দেখে মিলন পুলিশে খবর দেন।
মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি নেতা শহিদার রহমান হত্যা মামলায় সাক্ষী হওয়ায় আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছিল।
“আমার ধারণা ওই হত্যা মামলার আসামিরাই আমার ভাইকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।”
বিএনপি নেতা শহিদার রহমান হত্যা মামলার আসামির সংখ্যা ৭৪। সবাই পলাতক। এদের মধ্যে ১ নম্বর আসামি নয়ন ও ২ নম্বর আসামি হারুন ফোনে হুমকি দিত বলে মিলনের দাবি।