জগন্নাথের শৌচাগারে টিচার্স ক্যাফের রান্না

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি শৌচাগার দখল করে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্যাফের রান্নাঘর বানানো হয়েছে।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 06:41 PM
Updated : 4 August 2015, 07:35 PM

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নীচতলায় মিলনায়তনের পাশে শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে ক্যাফেটি। শৌচাগারে তৈরি হওয়া এই ক্যাফের খাবারই নিয়মিত খাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার ক্যাফেটি ঘুরে দেখা যায়, ক্যাফে সংলগ্ন শিক্ষকদের শৌচাগারটি চালু থাকলেও শিক্ষার্থীদের শৌচাগার বন্ধ করে সেখানেই খাবার রান্না হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবার নিম্নমানের হওয়ায় এ ক্যাফের খাবারের প্রতি আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থীদের।  প্রায় মাস ছয়েক আগে ক্যাফেটি চালু হওয়ার পর থেকে এই শৌচাগারেই চলছে রান্না।

শৌচাগারে রান্নার বিষয়ে টিচার্স ক্যাফের ম্যানেজার শামসুজ্জামান সুমন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শৌচাগারে শৌচকর্ম বন্ধ করা হয়েছে। এখন রান্নাবান্না হয়।”

শৌচগারের কাছে রান্না করা খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর-প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “বাসাবাড়ির একপাশে টয়লেট, একপাশে রান্নাঘর। এভাবেই তো হয়। এখানেও তেমনি হলেও তো সমস্যা দেখছি না।”

শৌচাগারের সামনে নোংরা, স্যাঁতসেতে পরিবেশে চলছে রান্না-বান্না।

শৌচাগারের সামনে নোংরা পরিবেশে একপাশে চলছে রান্না, অন্যপাশে রাখা হচ্ছে খাবার।

শৌচাগার ব্যবহার না হলেও তার নোংরা অবস্থার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আসলে রান্নার পানি পড়েছে তো তাই একটু নোংরা লাগছে। রান্না শেষ হলেই ঠিক হয়ে যাবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী নূর বলেন, রোজার আগেই শৌচাগারে রান্না বন্ধ করতে বলেছিলেন তারা। এজন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছিল।

“কিন্তু শুনলাম এখনো ওখানে রান্না চলছে, যা অত্যন্ত নোংরা। শৌচাগারে রান্না করা খাবার তো অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। উপাচার্যসহ সবাই বলছে এখানে রান্না বন্ধ করে দিতে। রমজানেই এটা বন্ধ করার কথা। শর্ত ছিল তারা বাইরে থেকে রান্না করে এনে এখানে কেবল সার্ভ করবে।”

শিগগিরই এখানে রান্না বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।