মঙ্গলবার যশোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শেখ জুলমত আলীর ছেলে আব্দুল করিম।
বাদীর আইনজীবী শাহরিয়ার আলম জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেশবপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মিনহাজ গাজীর ছেলে আমিন উদ্দিন মাস্টারসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন শ্রীরামপুর গ্রামের মেহের শেখের ছেলে জাকের আলী, মৃত চাঁদ আলীর ছেলে আজাহার আলী, ভাল্লুকঘর গ্রামের মৃত ইউনুচ আলীর ছেলে আকরাম মোল্লা ও চালিতাবাড়িয়া গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে কাসেম আলী।
অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার আলম মামলার বরাত দিয়ে জানান, আমিন উদ্দিন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কেশবপুরে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। বাদী আব্দুল কারিমের বাবা শেখ জুলমত আলী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ছিলেন।
“১৯৭১ সালের ৪ মে শেখ জুলমত আলীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রাজাকাররা।”
শাহরিয়ার বলেন, কেশবপুরের রাজাকার ক্যাম্পে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় এবং ৮ মে জুলমত আলীকে তার বাড়ির কাছে নিয়ে পরিবারের সকলের সামনে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
অভিযোগে আরও বলো হয়, ঘটনার সময় বাদী আব্দুল করিমের বয়স ২ বছর ছিল। সে কারণে তার পরিবারের লোকজন এই ঘটনার প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
বর্তমানে তিনি তার মা ও পরিবারের লোকজনের মুখে আসামিদের অত্যাচারের কথা শুনেছেন। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি যশোরের কেশবপুর আদালতে পিটিশন মামলাটি করেন।
কেশবপুর থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, এখনও আদালতের এ ধরনের কোনো নির্দেশ তার হাতে এসে পৌঁছেনি।