২১ অগাস্ট মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সচেষ্ট: কৌঁসুলি

একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত করতে সচেষ্ট রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 02:13 PM
Updated : 4 August 2015, 02:13 PM

২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার এই মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সম্প্রতি তাগিদ দিয়েছিল আইন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটি।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, এই অগাস্টেই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করতে পারব। কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

“তবে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি মামলার বিচার নিষ্পত্তির জন্য আমরা চেষ্টা করছি,” বলেন তিনি।

এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও আসামি। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেকের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির পর তাকে পলাতক দেখিয়েই বিচার চলছে।

মঙ্গলবার এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৬৮ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন ওই হামলায় গুরুতর আহত ইকবাল হোসেন তিতু, যিনি ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য দেন ইকবাল। তার সাক্ষ্য নিয়ে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন বুধবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার ওই সমাবেশে ইকবাল দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন। তার দেহে ৩৫০টি স্প্লিন্টার বিঁধেছিল।

সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বিচারককে শরীরের বিভিন্ন স্থান এবং পায়ের শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত দেখান ইকবাল।

তিনি বলেন, “তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত ও জঙ্গিরা ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটিয়েছিল।”

আলোচিত এই ঘটনার হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, তৎকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও আসামি।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম সাক্ষী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কবে সাক্ষ্য দেবেন, জানতে চাইলে মুখ খোলেননি সৈয়দ রেজাউর রহমান।

গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শ্রবণেন্দ্রিয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলেন ওই হামলায়।

মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মুজাহিদ, বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজিরা দেন।