ফেরত আনার পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগের দিন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার বিজিবি-১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর মাধ্যমে ১৫৯ বাংলাদেশির দেশে ফেরা দ্বিতীয় দফায় পিছিয়ে গেল। এর আগে ৩০ জুলাই তাদের ফেরত আনার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
বুধবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১৫৯ বাংলাদেশিকে ফেরত আনার কথা বিজিবির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হলেও রাত ৮টার দিকে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুধবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে যে ১৫৯ জনকে ফেরত আনার কথা ছিল তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।”
পরবর্তীতে তাদের ফেরত আনার দিনক্ষণ জানানো হবে বলে বলা হলেও কী কারণে তাদের ফেরত আনা স্থগিত করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি এই বিজিবি কর্মকর্তা।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরও ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী। পরে এদের মধ্যে ৩৪২ জনকে তিন দফায় ৮ ও ১৯ জুন এবং ২২ জুলাই দেশে ফেরত আনা হয়।
মিয়ানমার ফেরত ওই ৩৪২ জনকে কক্সবাজার থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ায় যাবতীয় সহায়তা দেয় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কর্মকর্তা আসিফ মুনীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মানবিক সহায়তা দানকারী সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।