প্রশ্নফাঁস: বিকাশের তিন এজেন্ট গ্রেপ্তার

এইচএসসির প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের অর্থ লেনদেনে সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে বিকাশের তিন এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 09:50 AM
Updated : 4 August 2015, 11:19 AM

ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে কালাম, ফারুক ও হীরা নামের ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৫ জুলাই ডেমরা থেকেই রায়হান চৌধুরী ওরফে ‘ড্যান ব্রাউন’ নামে এক যুবকসহ ছয় প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ তিন বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান মনিরুল।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এরা বৈধ বিকাশ এজেন্ট হলেও অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। প্রশ্নফাঁসে জড়িতরা ওইসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করত। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে পাওয়া ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা এসব অ্যাকাউন্টে গেছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।”

রায়হানের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে রোববার রাতে ডেমরার গোলাম মোস্তফা মডেল কলেজের তিন শিক্ষককেও গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, কলেজের অধ্যক্ষ শামীম সিকদার এই প্রশ্নফাঁস চক্রের হোতা। পরীক্ষার দুই ঘণ্টা আগে তিনি নিজে নির্দেশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। তাবে ধরতে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে।

মনিরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ‘বিকাশ’ এখন অপরাধীদের অর্থ লেনদেনের ‘অন্যতম মাধ্যম’ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাধিকবার সভাও করেছে।

“কোন কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছেন বা ব্যাংকের কোন স্তরের কর্মকর্তারা বিষয়গুলোর পর্যবেক্ষণ করছেন- তাও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।”

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধমূলক লেনদেনের ঝুঁকি কমানোর জন্য রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে অর্থ প্রেরণকারী ও উত্তোলনকারীর ছবি তুলে রাখতে এজেন্টদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।