সোমবার রাতে নগরীর টুটপাড়া এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজে মলদ্বারে পাইপের মাধ্যমে হাওয়া ঢুকিয়ে মো. রাকিব নামে ওই শিশুকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্থানীয়রা গ্যারেজ মালিক শরীফ (৩৫), তার দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু মিয়া (৪০), এবং শরীফের মা বিউটি বেগমকে (৫৫) পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
রাকিব টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের মো. আলমের ছেলে। সে টুটপাড়া কবরস্থানের কাছে শরীফের মোটর সাইকেল ওয়ার্কশপ ‘শরীফ মোটরসে’ কাজ করত।
কিছু দিন আগে সে ওই গ্যারেজ ছেড়ে পিটিআই মোড়ের আরেকটি গ্যারেজে কাজ নিয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
খুলনা সদর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, কাজ ছেড়ে দেওয়ায় রাকিবের উপর ক্ষুব্ধ ছিল মিন্টু মিয়া।
তখন রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে মিন্টু ও শরীফ পেটে চাপ দিয়ে বাতাস বের করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর তারা শিশুটিকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করায় বলে পুলিশ জানায়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাকিবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর পরপরই রাকিব মারা যায়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি সুকুমার বলেন, “রাকিবের শরীরের অস্বাভাবিক পরিমাণ হাওয়া প্রবেশ করানোর কারণে তার পেটের নাড়িভুড়ি ছিড়ে যায়, ফুসফুস ফেটে যায়। এতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে গেলে সে মারা যায়।”
রাকিবের লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার তার ময়নাতদন্ত করা হবে।
গণপিটুনির শিকার মিন্টু মিয়া ও শরীফকে পুলিশ পাহারায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নির্যাতনের সময় বিউটি বেগম উপস্থিত থাকলেও তিনি শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে যাননি বলে জানান খুলনা সদর থানার ওসি।