ফতুল্লায় বোমা ফাটিয়ে বাস থামিয়ে গুলিতে ব্যবসায়ীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে সড়কে বোমা ফাটিয়ে একটি বাস থামিয়ে তাতে উঠে এক ব্যবসায়ীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 06:18 PM
Updated : 3 August 2015, 07:41 PM

ফতুল্লায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত নুরুল ইসলাম (৪২) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী প্রসন্ন নগর এলাকার হানিফ হাজীর ছেলে।

তিনি ফতুল্লার রেলস্টেশন এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ঢাকার হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজায় তার পপুলার ইলেকট্রনিক্স নামে মোবাইল ফোনের দোকান রয়েছে।

কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে বাসের অন্য কোনো যাত্রী হামলার শিকার না হওয়ায় লক্ষ্য যে ছিলেন নুরুল, তা স্পষ্ট।     

ঢাকা থেকে উৎসব পরিবহনের একটি বাসে নুরুল নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে লিংক রোডের মাহমুদপুর এলাকায় সামাদ বানু সিএনজি স্টেশনের সামনে ওই বাসটি আটকানো হয় বলে নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরফুদ্দিন জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথমে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাসের গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা। এসময় কয়েকজন বাসে উঠে নুরুলের বুকে গুলি করে তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেমে যায়।”

এরপর নুরুলকে নিয়ে বাসটি শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান চালক। তবে চিকিৎসকরা দেখে বলেন, নুরুল মারা গেছেন।

বোমার বিস্ফোরণে বাসটির সামনের কাচ ভেঙে গেছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী মো. লিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “অতর্কিতভাবে মুহুর্মুহু হাতবোমা ফাটিয়ে দুর্বৃত্তরা বাস থামায়। এরপর দুটি মোটর সাইকেল আরোহী ৪/৫ জন যুবক বাসে উঠে নুরুল ইসলামকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে।”

হাসপাতালে নুরুল ইসলামের লাশের সামনে স্বজনের কান্না।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গুলিতে এই ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারান। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘাতকদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডেই গত বছর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

তার আগে এই সড়ক থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এ বি সিদ্দিককে। পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।