সিলেটের ৫ উপজেলায় ‘স্টোন ক্র্যাশার’ নিয়ে রুল

সিলেট মহানগরসহ পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুমোদন ছাড়া বসানো স্টোন ক্র্যাশার মেশিনের কাজ পরিচালনা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 05:39 PM
Updated : 3 August 2015, 05:42 PM

অন্য চার উপজেলা হচ্ছে-কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট।

একইসঙ্গে স্টোন ক্র্যাশিং মেশিন স্থাপনের ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে অনুমোদিত স্টোন ক্র্যাশার মেশিনগুলো পৃথক অঞ্চল তৈরি করে ওখানে স্থানান্তরের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার এ রুল দেয়।

ভূমি সচিব, বন ও পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের পরিচালক, পাচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রিট আবেদনটি করে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার।

পরে মিনহাজুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্টোন ক্র্যাশার মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র লাগবে। আইন অনুসারে এগুলো বছর বছর হালনাগাদ করতে হবে। সংশোধিত ওই নীতিমালা অনুসারে স্টোন ক্র্যাশার স্থাপনের ক্ষেত্রে পৃথক অঞ্চল তৈরির কথা বলা আছে। কিন্তু যত্রযত্র এগুলো বসানো হচ্ছে ও পরিবেশের দূষণ হচ্ছে। এ কারণে রিটটি করা হলে আদালত রুল দিয়েছে।

‘পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে ওখানে প্রায় ৬০০ স্টোন ক্র্যাশারের মধ্যে মাত্র ১৩টির হালনাগাদ পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে’ বলে জানান তিনি।

পাহাড় কাটায় নিষেধাজ্ঞা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ১০ দশমিক ৫১ একর এলাকায় পাহাড় কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ বেলার করা এক রিট আবেদন শুনে সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।

রুলে ওই পাহাড়টি কাটা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তা সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

পরে মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, লেক সিটি প্রকল্প হিসেবে ওই এলাকা পরিচিতি। পরিবেশ সংরক্ষন আইন-১৯৯৫ অনুসারে পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ। কিন্তু ওখানে পাহাড় কেটে আবাসন প্রকল্প করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় প্রথমে আইনি নোটিশ পাঠানো হলে  জবাব আসেনি। তাই  বে-আইনিভাবে ওই পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার রিট আবেদনটি করা হয়।