ছাড়পত্র দিতে ২ বছরের বেতন চায় কলেজ

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে ছাড়পত্রের বিনিময়ে পুরো দুই বছরের বেতন দাবির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কলেজের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 04:15 PM
Updated : 3 August 2015, 04:15 PM

এ ঘটনায় একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে কলেজটির কর্তৃপক্ষের দাবি, এত টাকা দাবি করেননি তারা।

তবে যেহেতু শিক্ষার্থীরা অন্য কলেজে চলে গেলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাই ‘অল্প কিছু’ টাকা ছাড়পত্রের জন্য তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেন বলে ডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে কলেজ কতৃপক্ষ।

সোমবার নগরীর চকবাজার এলাকার বেসরকারি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী সৈয়দ হাসনাত তানভীর ও আজহার উদ্দিন।

তানভীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাড়পত্র চাইতে গেলে কলেজের হিসাব বিভাগ থেকে জানানো হয় দুই বছরের পুরো বেতন ৪৩ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

“এত টাকা পরিশোধ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগও করেছি।”  

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসন খালি থাকলে যে কোনো শিক্ষার্থী তার পছন্দের কলেজে চলে যেতে পারবেন। ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কোনো ফি নেই।”

তবে শিক্ষার্থী যে মাস পর্যন্ত ওই কলেজে পড়েছেন বড় জোর সেই মাস পর্যন্ত বেতন নেওয়া যায় বলে মনে করেন কলেজ পরিদর্শক।

“ছাড়পত্রের ফি এত অস্বাভাবিক হওয়ার কথা নয়। লিখিত অভিযোগটি এখনো আমার কাছে আসেনি। এলে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই শিক্ষার্থী এসে মৌখিকভাবে তাকে বিষয়টি জানিয়েছে।

লিখিত অভিযোগ হাতে পেলে ঢাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন জানিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার আমাদের নেই।

“এ কলেজটি ছাড়াও আরও দুটি কলেজের বিষয়ে একই রকম অভিযোগ এসেছে। এরা খুব প্রভাবশালী লোকের নিয়ন্ত্রণে আছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেউ ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হই।”

তবে দুই বছরের বেতন দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষার্থী ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছে। যে যা পারে তাই দিয়েছে। আমারা টিসি (ছাড়পত্র) দিয়ে দিয়েছি। দুই বছরের বেতন দাবি করার কথা না।”

শিক্ষাবোর্ডে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহেদুল আলম বলেন, “আমার কাছে তো আগে আসতে হবে। তারা কেউ আমার কাছে আসেনি।

ছাড়পত্র দেওয়ার এখতিয়ার কলেজের, বোর্ডের নয় জানিয়ে জাহেদুল বলেন, “এখানে বোর্ডের কিছু করার নেই।”