মৃত হায়দার (২৫) ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার বাবার নাম আবদুল গফুর।
সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হায়দার মারা যান বলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফেনী শহরের সুলতানপুর এবং সৈয়দনগর এলাকার মাদক বিক্রেতা দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে হায়দার আহত হয়েছিলেন। সংঘর্ষে তিনি সৈয়দনগর এলাকার রনি ও কবিরের পক্ষে অংশ নেন।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহীনুজ্জামান বলেন, শহরের সুলতানপুর ও সৈয়দনগর এলাকায় মাদক বিক্রির আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার সৈয়দগর এলাকার রনি ও কবিরসহ ৫/৬ জন সুলতানপুর এলাকায় মাদক কিনতে গেলে আগের লেনদেন নিয়ে আনোয়ারের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে পরদিন শুক্রবার দুপুরে হায়দার, ফারুক, শাহজাহান, কবির ও নূর উদ্দিনসহ কয়েকজন সুলতানপুর এলাকায় আনোয়ারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় আনোয়ারের পক্ষের পাল্টা হামলায় হায়দার, শাহজাহান, ফারুকসহ বেশ গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারুক ও হায়দারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে হায়দার মারা যান।
পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান জানান, হামলার ঘটনায় আনোয়ারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১৫ জনকে আসামি ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।