চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের একশ মিটার ধসে গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 August 2015, 12:34 PM
Updated : 3 August 2015, 12:34 PM

এতে হুমকির মধ্যে পড়েছে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের বসত বাড়ি, আম বাগান, ফসলি জমি এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিনসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ভাঙন প্রতিরোধে এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ওমর আলী জানান, জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়া না হলে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মালবাগডাঙ্গা, বাখের আলীসহ ১৪টি গ্রাম ও সুন্দরপুর ইউপির আরাজি কলিনগর, বিশ্বনাথপুর, এগাররশিয়া, কালিনগর, পাঁচ রশিয়া, রামকৃষ্ণপুরসহ ২৪টি গ্রাম এবং প্রায় ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও সুন্দরপুর ইউনিয়ন এবং শিবগঞ্জ অংশে ২০১৩-১৪ সালে প্রায় তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কিন্তু পদ্মার প্রবল স্রোতে গত বুধবার চরবাগডাঙ্গা অংশে ৪ নম্বর বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার এবং ১০ নম্বর বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে।

এছাড়া ১০ নম্বর বাঁধের পাশে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে কয়েকদিনে প্রায় ১৫টি বাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

হুমকির মুখে রয়েছে গোয়ালডুবি গ্রাম, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, বিজিবির তিনটি সীমান্ত ফাঁড়ি বাখের আলী, ফরিদপুর ও চরবাগডাঙ্গা বিওপি, গোয়ালডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, বসত বাড়ি, আম বাগান ও ফসলি জমি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন বলেন,  অর্থের অপ্রতুলতার কারণে জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙণ প্রতিরোধ কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে।

অচিরেই নদী ভাঙন প্রতিরোধ কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

পাউবোর চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন বলেন,  ভাঙন যেন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।