প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিধান রেখে একটি আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে শুধু ২ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা সরকার বের করে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে উপরের সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা ও কাগজে নোট উভয়ই রয়েছে বাজারে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘দি বাংলাদেশ কয়েনেজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১৫’ আইন কার্যকর হলে সরকার ৫ টাকার মুদ্রাও ইস্যু করবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৫ টাকার মুদ্রা বের করা শুরু করলে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যু করা নোট ও ধাতব মুদ্রা পাশাপাশি প্রচলিত থাকবে। ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে ব্যাংকের নোট।
দুই টাকার পাশাপাশি এক টাকা, ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ১০ পয়সা, পাঁচ পয়সা, ১ পয়সার মুদ্রা সরকার ইস্যু করলেও অনেক মানের মুদ্রাই বর্তমানে বাজারে নেই।
দুই ২ টাকার মুদ্রা তুলে নেওয়ার সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তবে তিনি বলেন, “চাহিদা না থাকায় অনেক মুদ্রার সরবরাহ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক।”
১ ও দুই টাকার মুদ্রা তুলে দেওয়ার কথা গত বছর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একবার বলেছিলেন। এনিয়ে তীব্র আপত্তির পর মন্ত্রী পিছু হটেন।
সচিব জানান, বর্তমানে সরকারের ইস্যুকৃত মুদ্রার পরিমাণ মোট মুদ্রার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। পাশের দেশ ভারতে এই হার এক দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা নাকচ করে তিনি বলেন, “মোট কারেন্সির পরিমাণ বাড়বে না, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে পরিমাণ টাকা বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে, সে পরিমাণ টাকা সরকার ইস্যু করবে।”
তবে এর ফলে সরকারের একটি ছোট সুবিধা হবে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন।
“ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সরকারের যে ঋণ রয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে ৭৯০ কোটি টাকা হ্রাস পাবে।”