সোমবার সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগ গঠনের তরিখ থাকলেও মামলার ৩২ আসামির সবাই উপস্থিত না থাকায় আগামি ১০ অগাস্ট অভিযোগ গঠনের পরবর্তী দিন রেখেছেন বিচারক মকবুল আহসান।
আদালত ওইদিন মামলার সব আসামিকে আদালতে উপস্থিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কিশোর কুমার কর জানান।
একই কারণে এর আগে গত ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
আইনজীবী কিশোর কুমার জানান, অসুস্থতার কারণে সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে এদিন আদালতে আনা হয়নি।
এছাড়া অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও এদিন আদালতে আনা হয়নি।
এ মামলার ৩২ আসামির মধ্যে আটজন জামিনে ও ১৪ জন কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জিকে গউছসহ কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে থেকে পাঁচজন ও জমিনে থাকা আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান কিশোর কুমার কর।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা আহত হওয়ার পর ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান শাহ এ এম এস কিবরিয়া।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, হবিগঞ্জের বিএনপি নেতা ও বরখাস্ত পৌরমেয়র জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
এরপর আরিফুল ও গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান। সরকার তাদের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
গত ৩ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।