জেলা পুলিশের এএসপি (সার্কেল) নাসিম মিয়া জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে জালিয়াকান্দি নয়ার হাট এলাকায় সোলাইমান ও দিদার বাহিনী নামে পরিচিত ‘দুই দল ডাকাতের’ মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন হোসেন ওরফে মিলার বাড়ি জালিয়াকান্দি গ্রামের গোলন্দাজ বাড়িতে।
“মিলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। সোলাইমান বাহিনীর সন্ত্রাসী ছিলেন মিলা,” বলেন এএসপি নাসিম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আধিপত্য বিস্তার ও ডাকাতির মালামাল ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে রাতে ওই এলাকায় দুই বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলাকে বুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।”
পুলিশ মিলাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার ভোররাতে চরশাহী এলাকাতেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাকসুদ (২৫) নামের আরেক ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
সেসময় মাকসুদের কাছ থেকে ডাকাতির মালামালও উদ্ধার করা হয়। দুই ঘটনা একই কারণে হয়েছে বলে এএসপি নাসিমের ধারণা।