আপিলের আদেশ পুর্নবিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের অংশ হিসবে এফিডেভিট (হলফনামা) করার জন্য রোববার চেম্বার বিচারপতির আদালত অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রিভিউ আবেদন করার জন্য মায়ার আইনজীবী হলফনামা করার অনুমতি চাইলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অনুমতি দিয়েছেন।”
মায়ার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার জানান, রিভিউ আবেদন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সাত বছর আগের একটি দুর্নীতি মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে হাই কোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দিয়ে ১৪ জুন রায় দেয় আপিল বিভাগ।
ওই আদেশের পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়ার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আপিল বিভাগের আদেশের পর বিএনপিও মায়ার পদত্যাগের দাবি তুলেছে।
২০০৭ সালের ১৩ জুন জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা ওই মামলায় সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে ২৯ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত দুই ধারায় মায়াকে মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান। তার আপিলের শুনানি করে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে খালাস দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদন পর্যবেক্ষণসাপেক্ষে নিষ্পত্তি করে ১৪ জুন রায় দেয় আপিল বিভাগ।