পদোন্নতির পর চিকিৎসকদেরকে রাজধানীর বাইরে সেবা দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
রোবাবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৫ উদ্বোধন আনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১ থেকে ৭ অগাস্ট মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
পদোন্নতির পর ঢাকায় থাকার জন্য তদবির না করে গ্রামের মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় কর্মরত চিকিৎসকদের স্বেচ্ছায় রাজধানীর বাইরে বদলি হওয়ার আবেদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানান।
দেশের সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নাসিম বলেন, “আইসিইউ এর জন্য গ্রামের মানুষকে আর ঢাকায় আসতে হবে না।”
জেলা হাসপাতালগুলোকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুবিধার্থে দেশের সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শপিংমলে ‘ব্রেস্টফিডিং কর্নার’ স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, “এ উদ্যোগ মানবিক দায়িত্ব।”
“নারী ও শিশু উভয়ের কল্যাণেই এ ধরনের কর্নার স্থাপন জরুরি। এর জন্য সরকারি আদেশ বা আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় থাকা উচিত নয়।”
মাতৃদুগ্ধ পানে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, “নতুন প্রজন্মের মধ্যে অতি আধুনিকতার নামে অনেকেই বিপথে চলে গিয়ে মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তাদের মধ্যে সন্তানদেরকে দুধ খাওয়ানোর প্রবণতা অনেক কমে আসে।”
অভিভাবকদের সচেতনতার উপর জোর দিয়ে নাসিম বলেন, “সন্তানদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্যও উৎসাহ জোগাতে হবে।”
চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে টিনজাত দুধ খাওয়ানোকে নিরুৎসাহিত করতে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
“শুধু অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ নয়, বছরের প্রতিদিনই মানুষকে বোঝাতে হবে, মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই।”
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ডা. এস কে রায় বক্তব্য দেন।
আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মেলা পরিদর্শন করেন।