চাষাঢ়া বোমা হামলা: সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলার মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 02:33 PM
Updated : 2 August 2015, 02:33 PM

এ ঘটনায় দুই মামলায় রোববার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়াজী শহীদুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ চলে।

এ সময় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কে এম ফজলুর রহমান জানান, হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা দুটি মামলায় বাদী তৎকালীন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা তার দায়ের করা এজাহারের সপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, আদালতে উপস্থিত বোমা হামলা মামালার আসামি মুফতি হান্নান, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হাশেম শকুকে শনাক্ত করেন মামলার বাদী খোকন সাহা।

কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু আদালতে উপস্থিত হলেও তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

ওই সময় খোকন সাহা অপর পলাতক তিন আসামি ভারতের কারাগারে আটক হুজি নেতা দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মাহবুব মোত্তাকিন এবং ওবায়দুল হককে দেখলে সনাক্ত করতে পারতেন বলে আদালতকে জানান।

বোমা হামলায় দুপা হারানো সাবেক কৃষক লীগ নেতা চন্দন শীল ও স্প্লিন্টারে আহত সঞ্জিত কুমার উপস্থিত থাকলেও সময়ের অভাবে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২৪ অগাস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পূর্ব নিধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন, আহত হন শামীম ওসমানসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী।

পরদিন তৎকালীন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে অভিযুক্ত হন জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ভারতের কারাগারে আটক জঙ্গি নেতা দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মাহবুব মোত্তাকিন এবং চাষাঢ়ার বাসিন্দা ওবায়দুল হক।

এর মধ্যে মোরসালীন ও মোত্তাকীন ভারতের জেল আটক আছেন এবং ওবায়দুল হক পলাতক রয়েছেন।