কোকেনকাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি জেনেছে আদালত

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কোকেন আনার ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 02:30 PM
Updated : 2 August 2015, 02:31 PM

রোববার এই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে আদালত তিনটি প্রতিষ্ঠানে বন্দরে আটক সূর্যমুখী তেলের নমুনা পিরীক্ষার আদেশ দিয়েছিল। এর মধ্যে সিআইডি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারের ফলাফল পাওয়া গেছে বলে অগ্রগতি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, ওই দুই পরীক্ষাগারে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন থাকার অস্তিত্ব মিলেছে বলেছে বলে অবহিত করা হয়।

গত ২১ জুলাই একই আদালত মামলার অগ্রগতির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিল। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

পিপি ফখরুদ্দিন জানান, ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস ড্রাগ অ্যান্ড ফুড ড্রাগ ল্যাবরেটরির প্রতিবেদন এখনও যাওয়া যায়নি।

গত ৮ জুন বন্দরে আসা একটি কনটেইনারের ১০৭টি ড্রাম সূর্যমুখী তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব না পেলেও ঢাকার কয়েকটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা শেষে ২৭ জুন একটি ড্রামে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার ঘোষণা দেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

৮ জুলাই আদালতের আদেশে পুনরায় গোয়েন্দা পুলিশ ১০৭টি ড্রামের নমুনা সংগ্রহ করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ওই দিনই নমুনা আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম ফরিদ আলম পুনরায় এসব নমুনা ঢাকা সেনানিবাসের আর্মড ফোর্সেস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ ল্যাবরেটরি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগার ঢাকা এবং সিআইডি’র ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার আদেশ দেন।

কোকেন জব্দের এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও পুলিশ।