রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।
এতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। তিন স্তরে ২৫টির মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থাকবে এই স্মার্ট কার্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের কারিগরি ও নিরাপত্তার দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
এ কার্ডটি ১০ বছরের জন্য তৈরি হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।
স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের লক্ষ্যে ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজিস নামে এক সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার চুক্তির ছয় মাসের মাথায় সার্বিক প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে স্মার্টকার্ডের নমুনা চূড়ান্ত করা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের দায়িত্বে থাকবে ফ্রান্সের ওই সংস্থা। আর তা ভোটারদের হাতে পৌঁছাবে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে।
বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরমধ্যে ৯ কোটি ১৫ লাখের মতো ভোটারের হাতে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজের অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলে জানান তার প্রেস সচিব।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে মানুষ সুফল পাবে। এ কার্ডের ফলে দুর্নীতি ও অপরাধ কমে যাবে।”
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে মানুষ কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে, তা প্রচারের ওপর গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।