না বুঝেই আন্দোলন: সড়ক সচিব

জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঠিকমত ‘না বুঝেই’ চালকরা আন্দোলনে নেমেছেন মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বলছেন, সরকার ওই সিদ্ধান্ত ঠিকই বাস্তবায়ন করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2015, 10:02 AM
Updated : 2 August 2015, 10:02 AM

তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আড়াই লাখ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৫৭০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যা মোট সড়কের ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

“জাতীয় মহাসড়ক বাদে অন্যসব সড়কেই তিন চাকার যান চলতে পারবে। জাতীয় মাহসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সরকার বাস্তবায়ন করবে। এ থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই,” বলেন তিনি।

কোন জেলায় কতটুকু জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক সচিব বলেন, ওই মানচিত্র ওয়েবসাইটেও দেওয়া আছে।

গত বছর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে শ্যলো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি না চালানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। কিন্তু অটোরিকশা ও নছিমন চালকদের আন্দোলনের মুখে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এরপর দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মহাসড়কে অটোরিকশা, টেম্পো এবং অযান্ত্রিক সব তিন চাকার বাহন নিষিদ্ধ করে গত ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু শনিবার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরুর দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অটো চালকদের বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু হয়।  

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে শনিবার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে জরিমানা করা হলেও অধিকাংশ রাস্তায় অটোরিকশা ও টেম্পো চলে। রোববারও বিভিন্ন মহসড়কে অটোচালকদের অবরোধের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত ‘প্রাথমিকভাবে না বুঝে’ অনেকেই আন্দোলন করছেন মন্তব্য করে সচিব বলেন, “আস্তে আস্তে স্থিমিত হয়ে যাবে। মানুষের জীবনও রক্ষা পাবে।”

জাতীয় মহাসড়ক বাদে অন্য কোনো সড়কে তিন চাকার বাহন চলতে বাধা নেই জানিয়ে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, “মাঠ পর্যায়ের লোকজন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে।”

দ্রুতগতির যানের সঙ্গে একই সড়কে ধীরগতির বাহনের চলাচলকে মহাসড়কে দুর্ঘটনার ‘অন্যতম কারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেন সচিব।

বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো ঠিক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী এক বছর পর সড়ক খারাপের জন্য আর কোনো দূর্ঘটনা ঘটবে না।”

সচিব বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার বাহনের চলাচল ঠেকাতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, ডিআইজি হাইওয়ে এবং এসপিদের অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বিআরটিএ’র নিজস্ব ম্যজিস্ট্রেটরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছেন।