শনিবার রাত ৩টার দিকে রাজনগরের দীনদত্ত সেতুর কাছে এ বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে সদর থানার ওসি আহসান হাবিব জানান।
নিহত মিয়ারুল ইসলামের (৪৫) বাড়ি সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে।
ওসি বলছেন, মিয়ারুল ছিলেন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের নেতা। তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন অভিযোগে দশটি মামলাও রয়েছে।
শনিবার সকালের দিকে নূরপুরের বাড়ি থেকে মিয়ারুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার স্বামী দুই বছর জেল খেটে ৮/৯ মাস আগে মুক্তি পায়। তারপর থেকে সে মাছ ধরত এবং চাষাবাদ করত। পুরনো একটি মামলায় শনিবার তাকে আবার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।”
ওসি আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিয়ারুলকে শনিবার গ্রেপ্তার করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতে অস্ত্র উদ্ধারে বের হয় পুলিশ।
“পথে দীনদত্ত ব্রিজের কাছে অবস্থান নিয়ে থাকা মিয়ারুলের সহযোগীরা পুলিশের দিকে গুলি করে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে এক পর্যায়ে মিয়ারুল ঘটনাস্থলেই মারা যায়।”
পরে ঘটনাস্থল থেকে মিয়ারুলের লাশ এবং একটি বন্দুক, তিনটি হাতবোমা, কার্তুজ, দা ও চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মিয়ারুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।