শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকা সংলগ্ন কর্মচারীদের আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তানজীনা আক্তার সুক্তি (২২) নামে ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানান প্রক্টর তপন কুমার সাহা।
"তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এনাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
"তবে এটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক মৃত্যু ছিল, তা আমরা জানতে পারিনি।"
প্রক্টর জানান, তানজীনা মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার আরজ আলীর মেয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের এক কমর্চারী জানান, তানজীনা কর্মচারী কোয়ার্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক কামরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
"সকালে গোঙানির শব্দ শুনে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।"
পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই লাশ পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান ওই কর্মচারী।
তবে লাশ কীভাবে ক্যাম্পাস থেকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হলো সে ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান প্রক্টর তপন কুমার।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তা পুলিশকে জানানোর নিয়ম। এ ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখব।”