চট্টগ্রামে অপহৃত মাদরাসা ছাত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রাম নগরীর একটি পাহাড় থেকে অপহৃত এক মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2015, 04:16 PM
Updated : 1 August 2015, 04:16 PM

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ এলাকার পাহাড় থেকে ইসমাইলকে (১৯) ‍উদ্ধার করা হয়।

ইসমাইল কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালাল আহমেদের ছেলে।

একইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে তিন অপহরণকারীকেও আটক করেছে পুলিশ।

এরা হলেন- মো. রিমন (২৫), রুবেল (২৩) ও মামুন (২৩)।

তবে এরা দাবি করেছে, তারা শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা এবং ইসমাইলের পূর্ব পরিচিত। ইসমাইলকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে তারা ঘটনাস্থলে এসেছিল। এদের মধ্যে রিমন নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের দারুল আমান ওভারসিস নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কর্মচারী।

কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক ব্যক্তিকে পাহাড়ে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই।

“ঘটনাস্থল থেকে অপহৃতকে উদ্ধার এবং তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার-পাঁচ জন পালিয়ে গেছে।”

আটককৃতদের দাবির বিষয়ে ওসি জসিম বলেন, যে তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে তারা অপহরণের ঘটনায় জড়িত।

অপহৃত ইসমাইল সাংবাদিকদের বলেন, “পটিয়ার আল জামিরিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য শুক্রবার বিকালে আমি বহদ্দারহাট আসি।

“দুলাল নামের শাহপরীর দ্বীপের একজন আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা পেত। দুলালের সঙ্গে আমার কয়েকবার ফোনে কথা হয়। শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে বহদ্দারহাটের একটি হোটেলে নাস্তা করার সময় কয়েকজন আমাকে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।”

শুক্রবার রাতে অপরিচিত একটি স্থানে রাখার পর শনিবার সকালে তাকে রহমতগঞ্জ সওজ পাহাড়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধরও করে অপহরণকারীরা। ইসমাইলের পিঠে প্রহারের দাগ দেখা গেছে।

এসময় অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ফোন করে ‍মুক্তিপন দাবি করে বলে জানায় ইসমাইল।